কোরাপুট কাণ্ড (পর্ব ২)

ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় সীমান্তে অবস্থিত পাহাড়ি শহর। ‌যারা প্রকৃতি ভালোবাসেন, রোজকার জীবনের দৌড় থেকে সামান্য ব্রেক নিয়ে, নিজেকে রিচার্জ করতে চান। তাদের জন্য কোরাপুট পছন্দের জায়গা হতে পারে। ২০১৬ সালে আমার কোরাপুট ভ্রমণের  অভিজ্ঞতা ও ছবি এই ব্লগে। আজ দ্বিতীয় পর্ব।


পাহাড়ের বুকে মেঘের শিল্প

প্রথম পর্বে কোরাপুট পৌঁছানোর সময়ের কথা বলেছি। এবার পালা দ্বিতীয় পর্বের। কোরাপুটে প্রথম সকালে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিল বৃষ্টি। তবে সেটা আমাদের প্ল্যান ভেস্তে দেওয়ার জন্য ‌‌যথেষ্ট ছিল না। তাই সামান্য বৃষ্টিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রোদ উঠতে বেশি সময় লাগেনি। তাই আমাদের কোরাপুট দর্শনের প্রথম দিনটাও শুরু হল মুখে চওড়া হাসি নিয়েই। প্রথম গন্তব্য ছোট বেলায়  নাম শোনা একটা জায়গায়। ডুডুমা ফলস। তরাশঙ্করের লেখায় ‌যে ডুডুমার ডাকের কথা শুনেছিলেম, এবার পালা ছিল সেটা সামনে থেকে দেখার। পাহাড়ের ওপরে দাড়িয়ে অনেকটা দুর থেকেই ডডুমার দেখা পেলাম। 

ডডুমা ফলস

সবুজে ঘেরা পাহাড়ের গা বেয়ে দুধ সাদা জল নেমে আসছে। অনেকটা দুরে দাঁড়িয়েও ডুডুমার ‌যে শব্দ শুনলাম সেটা ভোলার নয়, এমনকি ভাষায় বর্ণনা করার মতও নয়। তবে আক্ষেপ একটাই, বর্ষাকাল তাই ডডুমার সামনে গিয়ে তার দর্শন হল না। আমাদের ড্রাইভার কাম গাইড জগদীশের কথা শোনা ছাড়া উপায় নেই।



ডডুমা ফলস ও আসপাশের বিভিন্ন পাহাড়ে সেদিন ছুটে বেড়াল আমাদের গাড়ি। স্থানীয় একটি জলবিদ্যু‍ত্প্রকল্প ঘুড়ে দেখলাম। সেখানে ছবি তোলার নিয়ম নেই। তাই সেই ছবি দেখাতে পারছি না। তবে দুর থেকে তোলা মাছকুন্ডা ফলস ও তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা জলবিদ্যু‍ত্প্রকল্পের একটা ফুল ভিউ পাওয়া গেল পাহাড়ের আরও পর থেকে।

সবুজের মায়া

ডডুমা ও তার আসপাশের নানান অঞ্চল, যেমন ছোট বড় কয়েকটি পাহাড়, ড্যাম, গ্রাম আমরা ঘুরে দেখলাম। ঠাণ্ডা প্রকৃতি, চারিদিকে সবুজ আর তার মাঝখান দিয়ে এগিয়ে যাওয়া রাস্তা মনের ক্লান্তি দুর করার জন্য যথেষ্ট। 

পূর্বঘাট পর্বতমালা





রোদ আর মেঘের খেলা

সারাদিন প্রকৃতির মাঝে কাটিয়ে আমরা ফিরে এলাম হোটেলে।


চলবে...

প্রথম পর্ব -  https://mytravelandpictures.blogspot.com/2020/04/blog-post_29.html


Comments

Post a Comment